ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

ঠিকাদারের অবহেলা, পানিতে তলিয়ে গেছে ধলঘাটার বিস্তীর্ণ এলাকা

শাহেদ মিজান, কক্সবাজার ::
ঠিকাদারের অবহেলায় ভাঙা অবস্থায় থাকা বেড়িবাঁধ দিয়ে সাগরের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে ধলঘাটার পাঁচ গ্রাম। আজ শনিবার দিনের জোয়ারের অস্বাভাবিক পানি ঢুকে তলিয়ে যায় গ্রামগুলো। এতে ওই এলাকার ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ে পানি। তলিয়ে যায় লবণমাঠ। এতে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আতিকুল ইসলামকে দায়ী করেছেন ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান।

তিনি জানান, শুধুমাত্র ঠিকাদার আতিকুল ইসলামের অবহেলার কারণেই শরইতলা থেকে হামিদখালী পর্যন্ত এক কিলোমিটার বাঁধ খোলা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের ওই অংশ দিয়ে অনায়সে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে সাগরের পানি। পানিতে উত্তর সুতুরিয়া, পানির ছড়া, নাছির মোহাম্মদ ডেইল, সিকদার পাড়া ও বনজামিরা ঘোনা গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে। এর আশেপাশের এলাকায়ও পানি ঢুকে পড়ে। পানিতে তলিয়ে ওইসব গ্রামের ঘরবাড়ি ও লবণমাঠের ক্ষতি হয়েছে।

চেয়ারম্যান কামরুল হাসান অভিযোগ করেন, বেড়িবাঁধের ওই অংশের কার্যাদেশ নেওয়ার পর দুই বছরেও কাজ শুরু করেননি ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম। এই নিয়ে ওই এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে শত বার অভিযোগ করেছি পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে। পত্রিকায় অনেক বার নিউজও ছাপা হয়েছে। কিন্তু কেউই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত উওজউ নামক আরেকটি ঠিকাদার কোম্পানী মূল ঠিকাদার আতিকুল ইসলামের কাছ থেকে হস্তান্তর নিয়েছেন। তারাও বিগত একমাস আগে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত কাজের কোন অগ্রতি দেখা যাচ্ছে না।

ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে ধলঘাটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। কাজের টেন্ডার হলেও কখনো পুরোপুরি কাজ হয়নি। এ কারণে ধলঘাটা বার বার পানিতে তলিয়ে যায়।’

পাঠকের মতামত: